হামজা চৌধুরী


হামজা দেওয়ান চৌধুরী (জন্ম: ১ অক্টোবর ১৯৯৭) একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল লিগের ২য় স্তর ইএফএল চ্যাম্পিয়নশিপ শেফিল্ড ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব এবং বাংলাদেশের হয়ে মধ্য মাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত রক্ষণাত্মক মধ্য মাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝে মধ্যে কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলে থাকেন।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর জানায় যে হামজা বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলার আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছেন।[]

হামজা ইংল্যান্ডের লেস্টারশায়ারে জন্মগ্রহণ করেন।[] তিনি জন্মগতভাবে একজন বাংলাদেশী মা ও গ্রেনাডীয় পিতার সন্তান। হামজা একটি ঐতিহ্যবাহী বাঙালি মুসলিম পরিবারে নিজের মাতা ও সৎ পিতার কোলে বেড়ে ওঠেন এবং শৈশব থেকেই তিনি বাংলাদেশ সফর করছেন।  তার মায়ের পৈতৃক নিবাস হল বাংলাদেশের হবিগঞ্জের বাহুবলে।  তার সৎ বাবাও বাঙালি। চৌধুরী স্বাচ্ছন্দ্যে সিলেটি ভাষায় কথা বলতে পারেন। তিনি তার পূর্বপুরুষের মাধ্যমে গ্রেনাডা জাতীয় দলের হয়ে খেলার যোগ্য।[][][][][][১০][১১][১২][১৩][১৪][১৫][১৬]

চৌধুরী একজন সুন্নি মুসলিম এবং তার যৌবনে সান্ধ্য মাদ্রাসায় পড়তেন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন যে, ম্যাচের জন্য চেঞ্জিং রুম থেকে বের হওয়ার আগে, তিনি আরবীতে কুরআনের কিছু অংশ; যেমন: আয়াত আল কুরসি ও বিভিন্ন দুআ পাঠ করেন।[]

২০১৯ সালের এপ্রিল তিনি ঐতিহাসিক একটি টুইটের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন।[১৭]  পরে তাকে অসদাচরণের জন্য অভিযুক্ত করা হয় এবং ৫,০০০ ইউরো জরিমানা করা হয় এবং একটি শিক্ষাগত কোর্সে রাখা হয়।[১৮]

তিনি এবং তার স্ত্রীর ২০১৮, ২০২০ ও ২০২৩ সালে জন্মগ্রহণকারী তিনটি সন্তান রয়েছে।[১৯]

২০২১ সালে এফএ ফাইনাল কাপ জয়ের পর হামজা তার একজন বন্ধুর সাথে ফিলিস্তিনি পতাকা উচিয়ে বিজয় উৎযাপন করেন, যখন ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাত চলছিল।[২০][২১]

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সংস্কারে আশা-নিরাশা

আল-কোরআনের সুন্দরতম গল্প

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা